আসানসোলের পুর প্রশাসক ও পুর মন্ত্রীর চাপানউতোর : জরুরী তলব

14th December 2020 8:09 pm বর্ধমান
আসানসোলের পুর প্রশাসক ও পুর মন্ত্রীর চাপানউতোর : জরুরী তলব


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : শুভেন্দু অধিকারী , রাজীব বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর পর এবার অস্বস্তি তৈরী করলেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পৌরসভার প্রশাসক জীতেন্দ্র তেওয়ারী ‌ ।  পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে লেখা ক্ষোভের চিঠি প্রকাশ‍্যে আসতেই চাঞ্চল‍্য রাজনৈতিক মহলে । ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা বক্তব‍্য ও রেখেছেন পুর প্রশাসক । কেন্দ্রীয় সরকার আসানসোল শহরকে স্মার্ট সিটি হিসাবে চিহ্নিত করেছে । সার্বিক উন্নয়নের জন‍্য প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে । কিন্তু রাজ‍্য সরকারের বিশেষত পুর মন্ত্রকের ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারনে তা বরাদ্দ করা যায়নি । রাজনৈতিক কারনেই এই কাজ করেছে রাজ‍্য সরকার বলে চিঠিতে তোপ দেগেছেন জীতেন্দ্র তেওয়ারী । রাজনৈতিক কারনেই নিতে দেওয়া হয়নি টাকা বলে মত পৌর প্রশাসকের । ঘটনা প্রকাশ‍্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলে । তড়িঘড়ি জীতেন্দ্র তেওয়ারী কে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছেন পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলে জানা গেছে । স্মার্ট সিটি র কাজ হলে আসানসোল সহ পাশ্ববর্তী এলাকার চেহারার  আমুুুল বদল ঘটে যাবে । আসানসোলের  মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে তাদের বলে জানিয়েছেন জীতেন্দ্র তেওয়ারী । এই ঘটনার জেরে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তিনিও তোপ দেগেছেন রাজ‍্য সরকারের বিরুদ্ধে । আগামীকাল বৈঠকের পর কি হয় পদক্ষেপ তার দিকে তাকিয়ে সকলে । পুরমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পুর প্রশাসক বলেছেন , রাজনৈতিক কারনে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের অর্থ থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে আসানসোল পৌরসভাকে । রাজ‍্যের জন‍্য ই আসানসোল স্মার্ট সিটি হওয়ার সুযোগ হারিয়েছে । জীতেন্দ্র তেওয়ারী র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ প্রকাশ‍্যে আসতেই চাঞ্চল‍্য ছড়িয়েছে রাজ‍্য রাজনীতিতে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।